সলঙ্গা প্রতিনিধি –
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল নাটোর রোডে অবস্থিত পপুলার প্লাস ক্লিনিকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কথিত ডাঃ সোহেল রানা। জানাযায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়ন এর চরিয়া আকন্দ পাড়া গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে তামিম খেলতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে গেলে গত ২০/০৯/২০২০ ইং তারিখে নিয়ে আসেন পপুলার প্লাস ক্লিনিকে। সেখানে অবস্থিত ডাঃ সোহেল রানা এক্সরে করে হাতের কব্জির হার ফেটে গেছে বলে জানায়।
এক্সরে বাবদ ৩৫০ টাকা ও ডাঃ ফি আর ঔষধ বাবদ ৮০০ টাকা নিয়ে চিকিৎসা পত্র দিয়ে দেন। ১২ দিন পাড় হলেও তামিমের হাতের ব্যাথা না কমায় এমদাদুল ০৩/১০/২০ তারিখে পুনরায় সিরাজগন্জ রোডের অবস্থিত হেলথ কেয়ার হসপিটালের এক্সরে করান। তাতে দেখা যায় তামিমের ডান হাতের মাঝখানের হাড় ফেটে গেছে। তামিমের বাবা এমদাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, গত ১০/১২ দিন ভুল চিকিৎসার জন্য আমার ছেলে কষ্ট পেয়েছে। নিকটবর্তী হওয়ায় আমি আমার ছেলেকে পপুলার প্লাস এ নিয়ে যায়। ডাঃ সোহেল এমবিবিএস দেখানোর কথা বলে এক্সরে করায় এবং এক্সরে বাবদ ৩৫০ টাকা ও ঔষধ বাবদ ৮০০ টাকা নিয়ে ঔষধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বলেন কব্জির হার ফেটে গেছে ঔষধ খেলেই ভাল হয়ে যাবে। তামিমের হাতের ফুলা ও ব্যাথা না কমায় আমি আজ হেলথকেয়ার হসপিটালের নিয়ে গেলে ডাঃ মাসুদ রানা বাদল জানান, ডান হাতের মাঝ বরাবর হাড় ফেটে গেছে। তিনি তামিমির হাতে ব্যান্ডেজ করে দেন। আজ আমি আবার পপুলার প্লাসে তামিমের এক্সরের রিপোর্ট চাইতে গেলে হারিয়ে ফেলিছি খুজে পাচ্ছিনা বলে জানায় ডাঃ সোহেল । আমি ভুল চিকিৎসার কারন জানতে চাইলে ডাঃ সোহেল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি আচরণ ও করেন।
আমার ছেলে ভুল চিকিৎসার কারনে যদি বড় কিছু হত আমি এই ভুয়া ডাঃ এর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে পপুলার প্লাস ক্লিনিকের ডাঃ সোহেল এর কাছে ডাঃ কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন,আমি ডাঃ কিনা আপনাকে বলব কেন, সাদা প্যাডে ব্যাবস্থাপত্র দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে সেখান থেকে চলে যান। এবিষয়ে হাসপাতালের আরেক মালিক আবদুল মতিনের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ডাঃ সোহেল বগুড়া শারিয়াকান্দির স্যাকমো অফিসার আমি এসে আপনাদের সাথে কথা বলব।
হসপিটাল যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে এসব ভুয়া ডাক্তার এর সংখ্যা ও চিকিৎসা নিয়ে বানিজ্য। এসব বন্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহল প্রসাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Desing & Developed BY লিমন কবির
Leave a Reply