সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় মোটা অংকের টাকায় ধামাচাপা দেওয়া ও মধ্যযোগীয় পন্থায় জুতা পেটার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত শুক্রবার (২০ই নভেম্বর) সন্ধ্যায় রশিদপুর গ্রামের আবুর স্ত্রী ফিরোজা কে একই গ্রামের নুনুর ছেলে আব্দুল হাকিম ধর্ষনের চেষ্টা করে । ফিরোজা চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন তাকে কাদামাখা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ফিরোজা খাতুন অভিযোগ করার জন্য থানায় যেতে চাইলে তাকে বাধা প্রদান করে এলাকায় বিচার দেওয়ার কথা বলে গ্রাম প্রধানরা। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২১ই নভেম্বর) রাতে মোটা অংকের (৫০ হাজার ) টাকায় বিনিময়ে ঘটনার ধামাচাপা ও শাস্তি স্বরূপ তাকে মধ্যযোগীয় পন্থায় ১০০ জুতা পেটার মাধ্যমে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনার ধামাচাপা দিয়ে দেন গ্রামের বিচারপতিরা । উক্ত শালিসে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি শামীম মেম্বার এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক লিটন মেম্বর,অত্র এলাকার বিচারকগণ মোঃ জনি খন্দকার,আশরাফ আলী,ইদ্রীস আলী,হারেজ আলী । ধর্ষনের চেষ্টার বিচার আইনের হাতে না দিয়ে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার বিষয়ে শামীম মেম্বার সহ বিচারপতিদের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান ধর্ষন চেষ্টার কোন বিচার করা হয়নি, মেয়ের গলায় দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেন ছিলো যা ঘটনার সময় হারিয়ে যায় তার ক্ষতি পূরন হিসেবে রায় দেওয়া হয়েছে যা ১০ দিন পরে দেওয়া হবে এবং জুতা পেটা করা হয়েছে যাতে সমাজের কোন ছেলে এ ধরনের কাজ না করে। এই বিচারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গুঞ্জনের ও সমালোচলার ঝড় উঠেছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন ধর্ষক কে আইনের আওতায় না দিয়ে গ্রাম্য শালিসে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করা এ যেন ধর্ষক কে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল।তারা ধর্ষকের কঠিন শাস্তির দাবী জানান। এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি, তবে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Desing & Developed BY লিমন কবির
Leave a Reply