মো: কাইয়ুম মাহমুদ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪টি চুরি সংগঠিত হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মী,দিনমজুর,দোকানদার এমনকি পুলিশও চোরের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। চুরির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ গো-খামারী রাত্রী যাপন করছে গোয়াল ঘরে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে,৯ডিসেম্বর দুপুরে কুঠিপাড়া বাসার নিচ থেকে সলঙ্গা থানার এএসআই শামছুল হকের পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়। একই দিন সলঙ্গা থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইমরান হাসান লিংকনের বাজাজ সিটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ৪ ডিসেম্বর থানা মসজিদের সামনে থেকে একটি অটো রিক্সা ভ্যান চুরি হয়। ৩ ডিসেম্বর রাতে থানার দবিরগঞ্জ বাজারে সিফা মেডিসিন কর্নার নামক দোকানে চুরি হয়। এছাড়াও ২৬ নভেম্বর দত্তকুশা কামারপাড়া গ্রাম থেকে ২টি গরু চুরি হয়। ১৭ নভেম্বর সলঙ্গা থানার পাঠধারীতে পেয়াজ বোঝাই ট্রাক ছিনতাই হয়।
এঘটনায় ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হয় নাটোরের নলডাঙ্গার ঠাকুর লক্ষীকুল গ্রামের তোমেজ উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ। চড়িয়া গ্রামের আল-মামুন নামের এক গো-খামারী জানান,গরু চুরি হওয়ার ভয়ে শয়ন ঘর রেখে গরুর পাশে বারান্দায় শয়ন করি। স্বামী-স্ত্রী পালাক্রমে রাত জেগে গরু পাহারা দেই।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তার কাছে একটি মাত্র চুরির অভিযোগ এসেছে। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল একটি উদ্ধার হয়েছে। এএসআই শামছুল হকের মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোর শনাক্ত হবে।
Desing & Developed BY লিমন কবির
Leave a Reply